অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আদি নিবাস হলো ভারতের বর্তমান ঝাড়খণ্ড প্রদেশের নানা প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখান থেকে কতদিন আগে তাঁরা বাংলাদেশে আসে তার সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি, তবে শোনা যায়, মাহাতোরা খুবই কর্মঠ, নিরীহ ও শান্ত স্বভাবের মানুষ। ঝগড়া, গন্ডগোল, অশান্তিমুলক কার্যকলাপকে তাঁরা প্রশ্রয় দেয় না, কিংবা তাতে কখনই অংশগ্রহণ করে না। তারা সব সময় নিজেদের মধ্যে এবং অপরদের মধ্যে সর্বদা মিলে মিশে থাকতে বেশি পছন্দ করে। তাদের প্রধান আদর্শ হচ্ছে যে, “যদি প্রত্যেকের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি না থাকে তাহলে কীভাবে একটি শান্তিময় সমাজ তারা পাবে”।
মাহাতোরা অর্থাৎ বেশির ভাগ মাহাতো যারা বাংলাদেশে আছে তারা কুর্মী বা কুড়মি জনগোষ্ঠীর। কুড়মিরা নামের শেষে মাহাতো কথাটি ব্যবহার করে বলে এরা মাহাতো নামে অধিক পরিচিত।[২] আসলে এরা সবাই কুড়মি জনগোষ্ঠীর অর্ন্তগত; কারণ এদের ভাষা কুড়মালি; যা ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, পশ্চিম বঙ্গ, আসামে এখনো প্রচলিত আছে এবং মাহাতোরা নিজেদের মধ্যে কুড়মালি ভাষায় কথা বলে। কুড়মি মাহাতোদের কিছু অংশ প্রথমে ঢাকার কুর্মীটোলায় হয়তো বসবাস শুরু করেছিল তাই হয়তো স্থানীয় লোকজন এই জায়গার নাম দিয়েছেন কুর্মীদের নাম অনুসারে কুর্মীটোলা। মুলত গোষ্ঠীগত দিক থেকে এরা সবাই কুড়মি হলেও এদের সম্প্রদায়ের পদবি হলো মাহাতো। এরা সবাই এদের নামের শেষে মাহাতো কথাটি ব্যবহার করে। অনেকে মনে করেন মহৎ থেকে মাহাতো কথাটি এসেছে, এটি আসলে ঠিক নয়, তবে কেউ কেউ নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে মাহাতো কথাটি মহৎ হতে এসেছে বলে বিশ্লেষন করেন। কিন্তু এটি আসলে আদৌও যৌক্তিক নয়। মাহাতো কথাটি পূর্ব থেকে আজো অবিকৃত অবস্থায় আছে।
জয় গরাম
সমাজকর্মী আন্দোলনকারীর নাম -
১) অসিত মাহাত
২) রাজেশ্বর মাহাত
0 Comments