স্বাধীনতা সংগ্রামে কুড়মি মাহাতো জনগোষ্ঠীর ভূমিকা
কুড়মি মাহাতো জনগোষ্ঠী ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন বিভিন্ন বিদ্রোহে ভূমিকা রয়েছে। ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্ৰামে চুয়াড় বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য নেতা ছিলেন রঘুনাথ মাহাতো।[৩][৪][৫] তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিলেন তা চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত। তিনি "আপনা গাঁও, আপনা রাজ; দূর ভাগাও বিদেশী রাজ" এই শ্লোগান দিয়েছিলেন।[৬][৭]
কোল বিদ্রোহের বীর শহীদ বুলি মাহাতো ছিলেন।[৮][৯][১০][১১] এছাড়াও ঝগড়ু মাহাতো সহ আরোও অনেকে শহীদ হন। এরপর আসি নীল বিদ্রোহের ১৮৪৩-১৮৪৮ গোপাল মাহাতো নেতৃত্ব দেন। এরপর গড্ডা সাঁওতাল বিদ্রোহ এর সময় গড্ডা জেলায় চানকু মাহাতো নেতৃত্ব দেন।[১২][১৩][১৪] এছাড়াও সিপাহী বিদ্রোহে সুকদেব মাহাত সহ এগারোজনের একসাথে ফাঁসি হয়। এছাড়াও উড়িষ্যার মেড়ি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন কঁকা মাহাত, রজনী মাহাত, সুচাঁদ মাহাত, কালিচরণ মাহাত, গোপিনাথ মাহাত, কালিয়া মাহাত প্রমুখ অংশগ্ৰহণ করেন।[১৫][১৬][১৭] এরপর কুড়মিরা অহিংস অসহযোগ আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্ৰহণ করেন। এই আন্দোলনে পাঁচজন তরতাজা কুড়মি মাহাতো যুবক শহীদ হন। এরা হলেন গোকুল মাহাতো, মোহন মাহাতো, শীতল মাহাতো, সহদেব মাহাতো, গণেশ মাহাতো।[১৮][১৯][২০] এছাড়াও অনেকের জেলও হয়। মহাত্মা গান্ধীর আইন অমান্য আন্দোলনের সময় হাজারিবাগ জেলে বন্দি হয়েছিলেন গিরীস মাহাতো, নানকু চন্দ্র মাহাতো, গোবিন্দ মাহাতো, দশরথ মাহাতো, চুনারাম মাহাতো, মথন মাহাতো প্রমুখেরা।[২১][২২][২৩] এছাড়াও ভাগলপুর জেলে বন্দি হয়েছিলেন পদক মাহাতো।[২৪][২৫][২৬] ১৯৪১ সালে সত্যাগ্ৰহ করার জন্য সাগর মাহাত, ভজহরি মাহাত, ভীম মাহাত, সত্যকিঙ্কর মাহাতো, মোহিনী মাহাতো কারাবরণ করেন।[২৭] এরপর 1942 সালে সত্যকিঙ্কর মাহাতোকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় মানবাজার থেকে কারাবরণ করতে হয়। ১৯৪২ সালে মানবাজার থানা ঘেরাও করার সময় চুনারাম মাহাতো এবং গোবিন্দ মাহাত শহীদ হন। মহিলাদের মধ্যে ভাবিনী মাহাতো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।[২৮] এছাড়াও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্ৰহণ করেছিলেন(ধানবাদ-পারবাসনিয়া)এর জগদীশ মাহাত। এছাড়াও আরো অনেকের অংশগ্ৰহণ আছে।[২৯][২৭]
জয় গরাম
সমাজকর্মী আন্দোলনকারীর নাম -
১) অসিত মাহাত
২) রাজেশ্বর মাহাত
0 Comments