কুড়মি সমাজের ধর্ম
কুড়মি মাহাতো সম্প্রদায় প্রকৃতির পূজা করেন।
চাঁউড়ির দিনে গৃহস্থ বাড়ির মেয়েরা উঠোন গোবরমাটি দিয়ে নিকিয়ে পরিষ্কার করে চালের গুঁড়ো তৈরী করা হয়। বাঁউড়ির দিন অর্ধচন্দ্রাকৃতি, ত্রিকোণাকৃতি ও চতুষ্কোণাকৃতির পিঠে তৈরী করে তাতে চাঁছি, তিল, নারকেল বা মিষ্টি পুর দিয়ে ভর্তি করা হয়। এই পিঠে বাঁকা পিঠে বা উঁধি পিঠে ও পুর পিঠা নামে পরিচিত। বাঁউড়ির রাত দশটা থেকে টুসুর জাগরণ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেয়েরা
জাগরণের ঘর পরিষ্কার করে ফুল, মালা ও আলো দিয়ে সাজায়। এই রাতে কিশোরী কুমারী মেয়েরা ছাড়াও গৃহবধূ ও বয়স্কা মহিলারাও টুসু গানে অংশগ্রহণ করেন। এই রাতে টুসুর ভোগ হিসেবে নানারকম মিষ্টান্ন, ছোলাভাজা, মটরভাজা, মুড়ি, জিলিপি ইত্যাদি নিবেদন করা হয়। পৌষ সংক্রান্তি বা মকরের ভোরবেলায় মেয়েরা দলবদ্ধভাবে গান গাইতে গাইতে টুসুকে বাঁশ বা কাঠের তৈরী রঙিন কাগজে সজ্জিত চৌডল বা চতুর্দোলায় বসিয়ে নদী বা পুকুরে নিয়ে যান। সেখানে প্রত্যেক টুসু দল গান গাইতে টুসুর চৌড়ল বিসর্জন করে থাকেন। টুসু
বিসর্জনের পরে মেয়েরা নদী বা পুকুরে স্নান করে নতুন বস্ত্র পরেন। ছেলেরা খড়, কাঠ, পাটকাঠি দিয়ে ম্যাড়াঘর বানিয়ে তাতে আগুন লাগান। এইভাবেই ঐতিহ্য বজায় রেখে ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার অধিকাংশ গ্রামে পুরাতন প্রথা অনুযায়ী টুসু উৎসবে পালিত হয়। ঝাড়খণ্ডের অধিকাংশ গ্রাম ও পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান , হুগলি জেলার গ্রামাঞ্চলে টুসু পরব প্রচলিত। বাংলাদেশেও মাহাতো অধুষ্যিত অনেক গ্রামে টুসু উৎসব হয়ে থাকে। বাংলার লোকসঙ্গীত ও সংস্কৃতিতে টুসু গান ও টুসু পরবের বিশেষ স্থান রয়েছে।
![]() |
জয় গরাম
সমাজকর্মী আন্দোলনকারীর নাম -
১) অসিত মাহাত
২) রাজেশ্বর মাহাত
0 Comments