কুড়মি সমাজ ব্যবস্থা
কুড়মি মাহাতোদের সমাজ ব্যবস্থা ব্রাহ্মণ্য ব্যবস্থার মধ্যে কোন দিন ছিল না।[৩০] কুড়মি মাহাতোদের সমাজ ব্যবস্থা সাম্যবাদী গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।[৩১] মাহাতোদের সমাজ ব্যবস্থা দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত এক “গ্রাম ভিত্তিক” ও “সমাজ ভিত্তিক”। গ্রাম ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় একজনকে “গ্রাম্যপ্রধান” নির্বাচন করা হয়। গ্রামে যিনি সবচেয়ে জ্ঞানী, বুদ্ধিমান ও বিচক্ষনশীল তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি হন এবং তার পর খেকে তিনি “মাহাতোয়া” নামে সমাজে পরিচিত লাভ করেন। গ্রামের যেকোন ধরনের সমস্যা ও সমাধানে সর্বদা তার সহযোগিতা নেওয়া হয়। গ্রাম ভিত্তিক যে কোন পূজায় কর্মী তৈরী করা এবং দায়িত্ব বণ্টন করা, বিবাহ, মৃত ব্যক্তির সৎকার ও শ্রাদ্ধ কিংবা গ্রাম ভিত্তিক যে কোন কাজ তার প্রত্যক্ষ পরিচালনায় সম্পাদিত হয়। সর্বোপরি বলা যায় মাহাতোরা গ্রামের হর্তাকর্তা। কিন্তু তিনি যদি কোন অন্যায় করেন, তাহলে গ্রামের মুরুব্বীগণ তাহা মনিটরিং করেন এবং সতর্ক করেন। তিনি যদি মুরব্বীদের সতর্ক না মানেন বা তাদের কথা না শোনেন, তাহলে সবাই মিলে তার মাহাতোয়া পদটি কেড়ে নেন। তাই তিনি স্বেচ্ছাচারিতা হতে পারেন না। আর সমাজ ভিত্তিক
সমাজব্যবস্থায় যে কয়টি গ্রাম নিয়ে সমাজ গঠিত হয়, সে কয়টি গ্রামের মাহাতোয়াদের মধ্যে একজনকে সমাজের প্রধান নির্বাচন করেন যাকে “সমাজপতি” বলা হয়। সমাজের যেকোন কাজে গ্রাম্যপ্রধান বা মাহাতোয়ারা “সমাজপতিকে” সহযোগিতা করেন। এখানে আমি নির্বাচন কথাটি ব্যবহার করেছি বলে মনে করবেন না যে তারা ভোটাভুটি করে নিবাচিত হন। আসলে সমাজে তাদের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটাকে মেনে চলেন আর সবাই তাকে মান্য করেন বলে তিনি সমাজপতি নির্বাচিত হন। কোন কারণে কোন গ্রামে যদি ঝগড়া কিংবা কোন আপত্তিকর ঘটনা ঘটে তাহলে তারা গ্রামের মাহাতোয়া অর্থাৎ গ্রাম্যপ্রধানের কাছে বিচার চান, গ্রাম্য প্রধান যদি কোন কারণে সিদ্ধান্ত দিতে না পারে তবে সমাজের সকল গ্রাম্যপ্রধান এবং যিনি সমাজপতি হন তিনি সহ সবাই মিলে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
জয় গরাম
সমাজকর্মী আন্দোলনকারীর নাম -
১) অসিত মাহাত
২) রাজেশ্বর মাহাত
👇👇👇👇👇👇
0 Comments