করম পরব-২০২৪


                             জয় গরাম





করম পরব-২০২৪

(২১তম বর্ষ

তাং- ২৮শে ভাদ্র ১৪৩১ সাল (ইং ১৪-০৯-২০২৪ ) শনিবার) পরিচালনায় — রাইপুর করম পরব কমিটি স্থান—রাইপুর করম থান (সবুজ বাজার)

আপনারা সকলে জানেন যে, সারা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধরিত্রী জম্বুদীপ' যার বর্তমান নাম ভারতবর্ষ। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ভাষা-সংস্কৃতি ধর্ম কে ভিত্তি করে আদি মানুষ সভ্যতাকে চরম শিখরে পৌঁছেছিল। পৃথিবীর সেই শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতি আজও আমাদেরকে গৌরবান্বিত করে চলেছে। ঐ অমূল্য মানব সভ্যতার আবেশ এখন ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের এই পবিত্র ধরণীর মধ্যে বেঁচে রয়েছে। এই এলাকার ভূমি পুত্রদের মধ্যে আজকের সভ্যতাকে এখনও তাদের সংস্কৃতি স্ব-গৌরবে পালন করে আসছে। যার মধ্যে দিয়ে এখানকার মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে আনন্দময়। পবিত্র করম পূজা হল ঐ শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতির মধ্যে এক মহান পরব। কেবলমাত্র ধার্মিক দৃষ্টি কোণ থেকে নয় সামাজিক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি কোণ থেকে করমপরব প্রাকৃতিক ধর্ম (সারনা ধর্ম) এর শ্রেষ্ঠ পূজা। যা আমাদের কে একসাথে নৈতিকতা, সামাজিকতা, বন্ধুত্বতা, প্রাকৃতিকতার ধারক ও বাহক হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে ।

বন্ধু নিজস্ব সভ্যতা সংস্কৃতি ও ধর্ম হল আমাদের পরিচয়। কিন্তুআজ আমরা পশ্চিমী দুনিয়ার সংস্কৃতির সাথে তাল মিলাতে মিলাতে আমাদের মহান সংস্কৃতিকেই ভুলে যেতে বসেছি। তাই আমরা মহান পবিত্র করম পরবের মাধ্যমে আমাদের শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করি।

করম পরবের মহান বাণী- আমার করম ভাইয়ের ধরম এই বাণীর মধ্য দিয়ে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের এবং ভাইয়ের সাথে বোনের যে অটুট সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা পশ্চিমী দুনিয়া তথা গোটা দুনিয়ার সংস্কৃতিকে হার মানায়।

আসুন, করম পরবের শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্বকে সংসারের সকলের কাছে পরিচিতি করি। তাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আমাদের এই মহান ও ঐতিহ্যমণ্ডিত করম পরবে সামিল হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই ।

(কেন্দ্রীয় প্রধান প্রজা, KVM.)

২৩শে ভাদ্র ১৪৩১ (ইং-১/১/২০২৪) সোমবার

বালি উঠা, জাওয়া পাতা কাসাই ঘাট।

বিকাল ৫টা : শোভাযাত্রা সহকারে করম ঠাকুর প্রতিষ্ঠা ।

সন্ধ্যা ৬টা

ঃ জওয়া নাচের প্রতিযোগিতা।

সন্ধ্যা ৭টা

: পূজা ও কহনী বলা।

Post a Comment

0 Comments